লেবাননের নতুন নেতৃত্বে হিজবুল্লাহর প্রভাব কি হ্রাস পাচ্ছে?
২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম | আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:২২ পিএম
লেবাননের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন এবং প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালামের নেতৃত্বে নতুন একটি রাজনৈতিক পরিবর্তনের আভাস দেখা যাচ্ছে। তবে এ পরিবর্তন হিজবুল্লাহর মতো শক্তিশালী গোষ্ঠীর সামরিক ও রাজনৈতিক আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে।
চলতি জানুয়ারিতে, জোসেফ আউন প্রেসিডেন্ট এবং নাওয়াফ সালাম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। এই পরিবর্তন এমন একটি সময়ে ঘটেছে, যখন হিজবুল্লাহ সিরিয়ার আসাদ শাসনের পতন এবং ইসরায়েলের সাথে সংঘর্ষে নেতাদের একের পর এক মৃত্যুর মতো বড় ধাক্কা সামলাচ্ছে।যদিও নতুন নেতারা সমতা, নিরাপত্তা, এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হিজবুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে লেবাননের রাজনৈতিক এবং সামরিক ক্ষেত্রে প্রধান শক্তি হিসেবে পরিচিত। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের প্রভাব কমতে শুরু করেছে। সিরিয়ার আসাদ সরকারের পতন হিজবুল্লাহর অস্ত্র সরবরাহের পথ সংকুচিত করেছে। একইসঙ্গে ইসরায়েলের সাথে সংঘর্ষে সংগঠনের উচ্চপদস্থ নেতাদের মৃত্যুর ঘটনা তাদের অবস্থানকে আরও দুর্বল করেছে।
নতুন প্রেসিডেন্ট আউন এবং প্রধানমন্ত্রী সালাম তাদের প্রথম ভাষণে রাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহারের একচেটিয়া অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলেন। এ ছাড়াও তারা ইসরায়েলের দখলকৃত এলাকা পুনরুদ্ধার এবং ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন।
হিজবুল্লাহর বর্তমান অবস্থান একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দলের নেতৃত্ব এখন তাদের সমর্থকদের পুনর্গঠন এবং তাদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করার জন্য চাপের মুখে রয়েছে। এই প্রক্রিয়ায়, লেবাননের নতুন নেতৃত্ব আন্তর্জাতিক সাহায্যের মাধ্যমে পুনর্গঠনে মনোযোগ দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া লেবাননের অর্থনৈতিক পুনর্গঠন সম্ভব নয়।
নাওয়াফ সালামের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে অনেক লেবানিজ আশাবাদী। ২০১৯ সালের গণআন্দোলনের সময় তার নাম প্রধানমন্ত্রীর পদে আলোচনায় আসে। তার প্রথম ভাষণে তিনি একটি আধুনিক, ন্যায়ভিত্তিক এবং সুশাসিত রাষ্ট্র নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
লেবাননের বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। নতুন নেতৃত্বের জন্য এটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংলাপ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কও তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তবে সিরিয়ার আসাদ সরকারের পতন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা এখন লেবাননের জন্য ইতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
লেবাননের নতুন নেতৃত্ব তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। তবে সিরিয়ার আসাদ শাসনের পতন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন একটি নতুন দিক নির্দেশনার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। হিজবুল্লাহর মতো গোষ্ঠীগুলোর প্রভাব সীমিত করতে এবং একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে এই সময়টি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ছাগলনাইয়ায় দুই হাত কাটা যুবকের লাশ উদ্ধার
কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লিটন, সম্পাদক মামুন
খুবি কেন্দ্রে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের লক্ষ্যে নানা সিদ্ধান্ত
ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের আদেশ স্থগিতে ১৮টি রাজ্যের মামলা
টেলিকমে অপ্রয়োজনীয় লাইসেন্স বাতিল করা হবে : বিটিআরসি চেয়ারম্যান
ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাইভেট কারচালক নিহত
খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য
আনিসুল হকের আয়কর নথি জব্দ
সাবেক ক্রিকেটার দুর্জয়ের সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ
বন্দরে বকেয়া বেতন দাবিতে পারটেক্স শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি
অবৈধভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি : ইউজিসি
ধামরাইয়ে ৩ দিনেও সন্ধান মেলেনি ইজিবাইক চালকের
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন পালিত
গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যমুক্ত সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে প্রয়োজন সমন্বিত প্রচেষ্টা -নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক
বিদ্যুৎ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিল পবিস কর্মীরা
উত্তরা উলামা আইম্মা পরিষদের কমিটি গঠন
ডাকাতির ভিডিও ভাইরাল হলেও অধরা রূপগঞ্জের রুবেল
সিনিয়র-জুনিয়র সংঘাতের দায়ে অভিযুক্ত দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
পদ্মা ব্যাংকের ১২২তম পরিষদ সভা অনুষ্ঠিত
ভারতের ছত্তিশগড়ে বন্দুকযুদ্ধে ২০ মাওবাদী নিহত